নৃবিজ্ঞানে পড়ে যেভাবে বিজ্ঞাপনে আসা কাজী মুশফিকুর রহমানের

বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্যাপিরাস কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী মুশফিকুর রহমান। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। শুরু থেকেই তিনি রয়েছেন প্যাপিরাসের সাথে। সাম্প্রতিক সময়ে প্যাপিরাসের করা মিস্টার হোয়াইট এর বিজ্ঞাপনটি বেশ সাড়া ফেলেছে।

বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্তা হিসেবে কাজ করলেও কাজী মুশফিকুর রহমানের অ্যাকাডেমিক লেখাপড়া নৃবিজ্ঞান নিয়ে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এখন যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য মার্কেটিং ব্যাকগ্রাউন্ড চাওয়া হয় সেখানে নৃবিজ্ঞানের মত বিষয়ে পড়ে কীভাবে তিনি মার্কেটিংয়ের জগতে চলে এলেন?
কাজী মুশফিকুর রহমানের মতে, নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অ্যাডভার্টাইজিংয়ে আসাটা জরুরি। কারণ নৃবিজ্ঞান মানেই মানুষ নিয়ে পড়াশোনা। একইভাবে বিজ্ঞাপন তো তৈরি করা হয় মানুষের জন্যই। বিজ্ঞাপন তো আসলে সংস্কৃতিকে ধারন করতে শেখায়। নৃবিজ্ঞানের পড়ালেখার একটা বড় অংশ জুড়েই আছে সংস্কৃতি। আমাদের কাজটা মানুষ আর সংস্কৃতি মিলিয়েই।

বিজ্ঞাপনের কাজ তো আসলে ব্র্যান্ড নিয়ে। সেক্ষেত্রে নৃবিজ্ঞানের পড়ালেখা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সেটা কীভাবে, তা বলতে গেলে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে হবে। মোদ্দা কথা, বিজ্ঞাপন একটা বাজার। এখানে অনেকেই আসতে পারেন এবং আসা উচিত বলে আমি মনে করি। দর্শন কিংবা ইতিহাস পড়ে কি বিজ্ঞাপনে কাজ করা যাবে না? অবশ্যই যাবে।

তবে আমি কিন্তু জেনেবুঝেই বিজ্ঞাপনের জগতে এসেছিলাম। পরিচিত সিনিয়র বন্ধুবান্ধবরা ছিলেন যারা বিভিন্ন এজেন্সিতে কাজ করতেন। তাদের সাথে আড্ডা হতো, সেখান থেকে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া। তারপর আগ্রহ থেকে চলে আসা কাজ করতে।